আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ সংজ্ঞা
- কোনো স্থানে বাতাসের তাপ, চাপ, উষ্ণতা, আর্দ্রতা, মেঘ, বৃষ্টি, জলীয়বাষ্পের পরিমাণ, বায়ু প্রবাহ ইত্যাদির দৈনন্দিন অবস্থাকে ঐ স্থানের আবহাওয়া বলে।
- কোনো স্থানের ২০-৩০ বছরের আবহাওয়ার গড়কে জলবায়ু বলে।
- আবহাওয়া সম্পর্কিত বিজ্ঞান – মেটিওরোলজী
- বাতাসে জলীয়বাষ্পের উপস্থিতিকে আর্দ্রতা বলে।
- আর্দ্রতা দুই প্রকার। যথা- ১. পরম আর্দ্রতা ও ২. আপেক্ষিক আর্দ্রতা
- ভূপৃষ্ঠের সমান্তরাল বায়ু চলাচলকে বায়ুপ্রবাহ বলে।
- বায়ুর উষ্ণ ও শীতল অবস্থাকে বায়ুর তাপ বলে।
- বায়ুর নিজস্ব ওজনের কারণে বায়ু যে চাপ প্রয়োগ করে তাই বায়ুর চাপ।
- যে বায়ু সারাবছর একইদিকে বা উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলের দিকে প্রবাহিত হয় তাকে নিয়ত বায়ু বলে। যেমন- অয়ন বায়ু, মেরু বায়ু।
- নিরক্ষীয় নিম্নচাপ বলয় হতে উষ্ণ ও হালকা বায়ু উপরে উঠে গেলে কর্কটীয় ও মকরীয় উচ্চচাপ বলয় থেকে শীতল ও ভারি বায়ু নিরক্ষীয় নিম্নরূপ দিকে প্রবাহিত হয়। একে অয়ন বায়ু বলে।
- ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে যে বায়ু দিক পরিবর্তন করে মৌসুমী বায়ু বলে।
- মৌসুমী বায়ু সৃষ্টির মূল কারণ- উত্তর ও দক্ষিণ আয়ন বায়ু
- বাংলাদেশে উত্তর-পূর্ব মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে শীতকালে বৃষ্টিপাত হয়।
- স্থানীয় চাপ ও তাপের তারতম্যের ফলে স্থানীয় বায়ুর উৎপত্তি হয়।
- ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিমা বায়ুর গতিবেগ ৪০˚-৪৭˚ দক্ষিণ অক্ষাংশে সর্বাপেক্ষা বেশি এবং এখানে সবসময় ঝড়ঝঞ্ঝা লেগেই থাকে, তাই এই অঞ্চলকে গর্জনশীল চল্লিশা বলা হয়।
বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ু সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ সংক্ষিপ্ত প্রশ্নঃ
- জলবায়ুর নিয়ামকসমূহ- অক্ষাংশ, সমুদ্র, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে দূরত্ব, সমতল থেকে উচ্চতা, বায়ু প্রবাহ, সমুদ্র স্রোত, ভূমির ঢাল, মাটির প্রকৃতি ইত্যাদি
- আবহাওয়া ও জলবায়ুর উপাদান- বায়ুর তাপ, চাপ, বায়ুপ্রবাহ, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, বাতাসের আর্দ্রতা ইত্যাদি
- বায়ুর তাপের প্রধান উৎস- সূর্য
- সূর্য থেকে পৃথিবীতে তাপ আসে- বিকিরণ প্রক্রিয়ায়
- সূর্য সারাবছর লম্বভাবে কিরণ দেয়- নিরক্ষরেখার উপর
- সমুদ্র সমতল হতে প্রতি হাজার মিটার উচ্চতায় তাপমাত্রা বাড়ে- ৬ ডিগ্রী সেলসিয়াস
- বায়ুর চাপ সবচেয়ে বেশি হয়- শুষ্ক ও শীতল অবস্থায়
- সমুদ্র বায়ু প্রবলভাবে প্রবাহিত হয়- বিকালে
- বৃষ্টিপাত পরিমাপ করা হয়- রেইনগজ দ্বারা
- নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছর পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়
- নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে পরিচলন বৃষ্টিপাত হয়
- সমুদ্র পৃষ্ঠে বায়ুর চাপ প্রতি সেন্টিমিটারে ১০ নিউটন
- সমুদ্র পৃষ্ঠে বায়ুর স্বাভাবিক চাপ- ২৯.৯২ ইঞ্চি বা ৭৬০ মিলিমিটার পারদ স্তরের সমান
- ভূপৃষ্ঠে প্রতি এক বর্গ সেন্টিমিটারে বায়ুর চাপ এক কিলোগ্রামের সমান।
বাংলাদেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুঃ
- বাংলাদেশের উষ্ণতম স্থান- নাটোরের লালপুর
- বাংলাদেশের উষ্ণতম জেলা- রাজশাহী
- শীতলতম স্থান- শ্রীমঙ্গল
- শীতলতম জেলা- সিলেট
- সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়- সিলেটের লালখানে
- সর্বনিম্ন বৃষ্টিপাত হয়- নাটোরের লালপুর
- বাংলাদেশের জলবায়ু- সমভাবাপন্ন
- বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর- আগারগাও, ঢাকা
- সার্ক আবহাওয়া গবেষণা কেন্দ্র অবস্থিত- আগারগাও, ঢাকা
- বাংলাদেশের গড় তাপমাত্রা- ২৭.৮˚ সেলসিয়াস
- গড় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ- ২০৩ সে.মি.
- উষ্ণতম মাস- এপ্রিল
- শীতলতম মাস- জানুয়ারি
- সবচেয়ে বড় দিন ও ছোট রাত- ২১ জুন
- সবচেয়ে ছোট দিন ও বড় রাত- ২২ ডিসেম্বর
- দিন-রাত সমান- ২১ মার্চ ও ২৩ সেপ্টেম্বর
- মোট বৃষ্টিপাতের পাঁচভাগের চারভাগ হয়- বর্ষাকালে
- বাংলাদেশে মোট ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র- ৪টি (চট্টগ্রাম, ঢাকা, রংপুর ও সিলেট)
- মোট আবহাওয়া স্টেশন- ৩৫টি
- বাংলাদেশে মোট ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র- ৪টি (রাঙ্গামাটি, মহাখালি, গাজীপুর ও সিলেট)
- বাংলাদেশে প্রথম জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করা হয়- ২০১০ সালে